Menu
নয়নাভিরাম হামহাম জলপ্রপাত ভ্রমন

নয়নাভিরাম হামহাম জলপ্রপাত

🌿 প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক বিস্ময়!
রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে ঘন সবুজ অরণ্য ঘেরা হামহাম জলপ্রপাত, প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য যেন এক স্বর্গরাজ্য।

🥾 অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য আদর্শ ট্রেকিং স্পট
ঝিরিপথ, পাহাড়ি টিলা, বাঁশবন আর কাঠের সাঁকো পেরিয়ে ৮ কিমি হাঁটা শেষে হামহাম পৌঁছানোর রোমাঞ্চ একেবারে ভোলার মতো নয়!

💦 ১৩৫–১৭০ ফুট উচ্চতা থেকে ঝরে পড়া পানির গর্জন
ঝর্ণার গায়ে পড়া সাদা ফেনার মতো জলরাশি আর তার তীব্র শব্দ মনকে মুহূর্তেই শীতল করে তোলে।

🐒 বন্যপ্রাণ ও জীববৈচিত্র্যে ভরপুর বনভূমি
পথে দেখা মেলে চশমাপরা হনুমান, প্রজাপতি, ডুমুর ও বেতবাগান, নানা রকম বাঁশের ঝোপ ও পাহাড়ি গাছের সমারোহ।

📍 অবস্থান ও ইতিহাসে ভরপুর রহস্যময়তা
২০১০ সালে আবিষ্কৃত এই জলপ্রপাত স্থানীয়দের কাছে পরিচিত “চিতা ঝর্ণা” নামে। কেউ বলে এর নাম এসেছে ‘হাম্মাম’ শব্দ থেকে, কেউ বলে পানির তীব্র শব্দ “আ-ম আ-ম” থেকেই “হামহাম”।

📸 ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির জন্য চমৎকার লোকেশন
নিসর্গ প্রকৃতির মাঝে দাঁড়িয়ে অসাধারণ দৃশ্যপট — যা নিঃসন্দেহে আপনার ক্যামেরায় থাকবে দারুণ কিছু স্মৃতি হয়ে।

নেচার ক্যাম্পিং ও অফবিট এক্সপ্লোরারদের জন্য পারফেক্ট
যারা মূলধারার বাইরে গিয়ে প্রকৃতিকে অনুভব করতে চান, তাদের জন্য হামহাম ঝর্ণা এক বিশেষ অভিজ্ঞতা।

🧭 লোকাল গাইডদের সঙ্গে নিরাপদ ও চমৎকার অভিজ্ঞতা
স্থানীয় পথপ্রদর্শকদের সহায়তায় পথ জানা ও বনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় — এক অনন্য সহযোগিতা।

বাস, ট্রেন বা বিমান যেভাবেই যান না কেনো প্রথমে আপনাকে মৌলভীবাজার অথবা শ্রীমঙ্গল স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে যেতে হবে কমলগঞ্জ। যারা এ জায়গায় যেতে ইচ্ছা পোষণ করবেন তাদের কমলগঞ্জ অথবা শ্রীমঙ্গল শহর হতে যানবাহন ভাড়া করতে হবে ভোর ছয়টার মধ্যে। তাহলে চাম্পারার চা বাগানে কলাবনপাড়ায় পৌঁছতে পারেন সাড়ে সাত বা আটটার মধ্যে। কলাবনপাড়া হতে হামহাম জলপ্রপাতে যেতে-আসতে প্রায় ৫ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। শ্রীমঙ্গল থেকে লাউয়াছড়া যাওয়ার জন্য সিএনজি ও জীপ রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় ভানুগাছা বাসস্ট্যান্ড থেকে লাউয়াছড়া যাওয়ার লোকাল বাসও রয়েছে।

লাউয়াছড়া বনের গাঁ ঘেঁষে আঁকা বাঁকা পাহাড়ি পথ, টিলা কাঠের গুড়ি দিয়ে বানানো সাঁকো দিয়ে ঘণ্টা খানেক হাঁটলেই আপনি পৌঁছে যাবেন কলাবানপাড়া। এছাড়াও কমলগঞ্জ পৌরসভার মোড় থেকে কলাবান পর্যন্ত দূর ২৪ কিলোমিটার। এই ২৪ কিলোমিটারের মধ্যে কুড়মা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার পাকা রাস্তা এবং বাকিটা পথ কাঁচা।

কলাবনপাড়া থেকে হাঁটার রাস্তা প্রায় ৮ কিলোমিটারের মতো পাহাড়ি পথ শেষে হামহাম ঝর্ণার দেখা মিলবে।

হামহাম বা চিতা ঝর্ণা, বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে কুরমা বন বিট এলাকায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত বা ঝর্ণা। জলপ্রপাতটি ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের শেষাংশে পর্যটন গাইড শ্যামল দেববর্মার সাথে দুর্গম জঙ্গলে ঘোরা একদল পর্যটক আবিষ্কার করেন।

দুর্গম গভীর জঙ্গলে এই ঝরণাটি ১৩৫ মতান্তরে ১৪৭ কিংবা ১৭০ ফুট উঁচু। কেউ কেউ ঝরণার সাথে গোসলের সম্পর্ক করে “হাম্মাম” (গোসলখানা) শব্দটি থেকে “হাম হাম” হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন। কেউ কেউ মনে করেন, সিলেটি উপভাষায় “আ-ম আ-ম” বলে বোঝানো হয় পানির তীব্র শব্দ, আর ঝরণা যেহেতু সেরকমই শব্দ করে, তাই সেখান থেকেই শহুরে পর্যটকদের ভাষান্তরে তা “হাম হাম” হিসেবে প্রসিদ্ধি পায়। তবে স্থানীয়দের কাছে এটি “চিতা ঝর্ণা” হিসেবে পরিচিত, কেননা একসময় এজঙ্গলে নাকি চিতাবাঘ পাওয়া যেত।

ঝরণাটির কাছে যাওয়ার জন্য এখনও (নভেম্বর ২০১১) সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ গৃহীত হয়নি, সাধারণত স্থানীয় অধিবাসীদের থেকে কাউকে গাইড বা পথপ্রদর্শক নির্ধারণ করে পর্যটকরা ঝরণা ভ্রমণ করেন। ঝরণায় যেতে হলে কুড়মা বন বিটের চম্পারায় চা বাগান হয়ে যেতে হয়। চম্পারায় চা-বাগান থেকে ঝরণার দূরত্ব প্রায় ৭ কিলোমিটার। পথে অত্যন্ত খাড়া মোকাম টিলা পাড়ি দিতে হয় এবং অনেক ঝিরিপথ ও ছড়ার কাদামাটি দিয়ে পথ চলতে হয়। হাম হাম যাবার পথ এবং হাম হাম সংলগ্ন রাজকান্দি বনাঞ্চলে রয়েছে সারি সারি কলাগাছ, জারুল, চিকরাশি কদম গাছ। এর ফাঁকে ফাঁকে উড়তে থাকে রং-বেরঙের প্রজাপতি।

ডুমুর গাছের শাখা আর বেত বাগানে দেখা মিলবে অসংখ্য চশমাপড়া হনুমানের। এছাড়াও রয়েছে ডলু, মুলি, মির্তিঙ্গা, কালি ইত্যাদি বিচিত্র নামের বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ।

📲 Booking & Details:
📞 +8801711165606 | +8801611165606


📍 জিলহজ্জ গ্রুপ বাংলাদেশ – আত-তাবলীগ হজ্জ সার্ভিসেস
✅ IATA: ৪২৩৩৫৯০৪ | হজ লাইসেন্স: ১৩৪২ | ট্রাভেল লাইসেন্স: ০০০০৭৪৮
📍 কেরানীগঞ্জ, ঢাকা
🌐 WhatsApp Chat Now
📍 Google Map Location
মৌলভীবাজার #শরীমঙ্গল #কমলগঞজ #হামহামজলপ্রপাত #চিতাজলপ্রপাত #ঝরণা #জলপরপাত
ওয়াল্ডহেরিটেজ #অযাডভেঞ্চারবাংলাদেশ #টরাভেলবাংলাদেশ #টরাভেললাভার #বাংলাদেশভ্রমন #অপরপবাংলা